ঢাকা,সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে মিশিং বসিয়ে চলছে রমরমা বালির ব্যবসা

নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া ::
চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে বেশ কটি পয়েন্ট থেকে অবৈধ ভাবে ক্ষমতাসীনদের নাম ভাঙ্গিয়ে ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্ষতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজসে চলছে রমরমা বালির ব্যবসা। কেউ মিশিং বসিয়ে আবার কেউ জমি দখল করে আর খাস জায়গা থেকে। যার ফলে প্রতিবছর নদীর বাঁক পরিবর্তন হয়ে বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়ে নদী গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে ফসলী জমি, ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্টান, শিক্ষা ও ধর্মীয় উপসানালয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অনেকে আশ্রয় নিতে হয় পাহাড়ে কিংবা অন্যস্থানে। তবুও মাতামুহুরী নদী থেকে বালি উত্তোলন বন্ধ করার কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে সাধারণ লোকজন প্রতিনিয়ত আতংক ও হতশায় ভোগছে।
জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার সীমানায় বুম বিলছড়ি থেকে শুরু হয়ে সাহারবিল পর্যন্ত নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে নদীতে মিশিং বসিয়ে ও ডেম্পার ট্রাক গাড়ি দিয়ে এ বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বিশেষ করে সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিম পাশের্^, সাহারবিল জলদাশ পাড়া, সুরাজপুর, পৌরসভার মাতামুহুরী নদীর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা, পশ্চিম দিগরপানখালী ফকিরাখীল, উত্তর ঘুনিয়াসহ বেশ কটি পয়েন্ট থেকে ক্ষমতাসীন নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধ ভাবে বালু অব্যহত রয়েছে। এতে করে প্রতিবছর নদীর বাঁক পরিবর্তন হয়ে বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়ে নদী গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে ফসলী জমি, ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্টান, শিক্ষা ও ধর্মীয় উপসানালয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অনেকে আশ্রয় নিতে হয় পাহাড়ে কিংবা অন্যস্থানে। এছাড়া বিভিন্ন অভ্যান্তরিন সড়কে নষ্ঠ হয়ে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। এছাড়া বেপরোয়া ভাবে বালির গাড়ি চলাচল করার সময় অনেক আহত ও নিহত হচ্ছে। প্রাণ নিয়ে যাচ্ছে গরু,ছাগল, হাঁস,মুরগীর। ভয়ে স্কুলে যেতে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বেশ কিছু শিক্ষার্থী। এসব সমস্যা দেখলোও স্থানীয় প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা। অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে কিছু অসাধুরা দিন দিন টাকা আয় করলেও ক্ষতি হচ্ছে অসংখ্য সাধারণ মানুষের। অভিযোগ উঠেছে, অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করার কারণে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে, ঠিক সাধারণ মানুষ হারাচ্ছে তাদের মূল্যবান সম্পদ। এ ব্যাপরে স্থানীয় সচেতন মহল দ্রুত পদক্ষেপ নিতে উর্ধ্বতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

পাঠকের মতামত: